মাত্র ১০ মাস আগেই শেষ হয়েছে যশোরের রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। এরই মধ্যে মনিরামপুর পৌর শহরের রাস্তার বেশ কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের স্থানে ঢালাইয়ের নিচে রডের মাথা বেরিয়ে এসেছে। গর্ত, ফাটল এবং রডের মাথায় পানি জমে গাড়ি ও পদব্রজে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। বের হয়ে আসা রডের মাথা থাকায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আহতের খবর এসেছে।

২০২০-২১ অর্থ বছরে যশোরের রাজারহাট থেকে মনিরামপুর হয়ে চুকনগর পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে চারজন ঠিকাদার কাজ করেন। এর মধ্যে মনিরামপুর থেকে চিনেটোলা পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন করেন মেসার্স কপোতাক্ষ এন্টারপ্রাইজ।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মনিরামপুর বাজারের কুলটিয়া মোড়, থানা মোড়, ফল বাজার, কালী মন্দির, প্রেসক্লাব ও পূরবী সিনেমা হলের সামনে সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক।

আরো জানতে ক্লিক করুন

জানা যায়, শুরু থেকেই ঠিকাদার এই সড়কে কাজে গড়িমসি করেছেন। বাজারের ভেতর সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি। বাজারের বাইরে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেও তাতে ময়লা জমে থাকায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির সময় ড্রেনে ময়লা পানি জমে মশার বংশ বিস্তারও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এছাড়া, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার ফলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্তে গাড়ি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

থানা মোড় এলাকার বাড়ি সুপার মার্কেটের মালিক আব্দুল মজিদ সরদার বলেন, ‘সামান্য পানি হলে রাস্তার ওপর হাঁটুপানি জমে থাকে। ভারী যান চলাচলের সময় চাকার চাপে ময়লা পানি দোকানের ভেতরে ছিটকে আসে।’

মেসার্স কপোতাক্ষ এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, ‘কংক্রিটের সমস্যা থাকায় সড়কের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দ্রুত মেরামত করে দেয়া হবে।’

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ঠিকাদারের জামানতের বিল এখনও পরিশোধ করা হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ফাটল মেরামত না করলে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।’